শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করতে হবে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে, তাদের অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই।
রাষ্ট্রপতি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে এ সব কথা বলেন।রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার বুদ্ধিজীবীরা। তাদের উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত তাদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ দেওয়াসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য, বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদারবাহিনী পরিকল্পিতভাবে এ দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতির জন্য এই এক অপূরণীয় ক্ষতি।
আবদুল হামিদ বুদ্ধিজীবী হত্যা ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে হানাদারবাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারায়। এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায় আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালির জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ধাপে ধাপে বহু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। গোটা জাতি তারই আহ্বানে মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়।
আরও পড়ুনঃ ১৫ ডিসেম্বর থেকে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদনের সার্কুলার জারি
রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বিজয়ের ঠিক আগে পাক হানাদারবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণকারী বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
[…] […]
ReplyDelete