খাঁচা পদ্ধতির মাছ চাষ উৎপাদন বাড়াবে দ্বিগুন - News Daily Bangladesh-Latest Online Popular Bangla Newspaper

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, March 13, 2020

খাঁচা পদ্ধতির মাছ চাষ উৎপাদন বাড়াবে দ্বিগুন


বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি শাখা দেশে প্রোটিনের চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে ও উৎপাদন বাড়াতে কাপ্তাই হ্রদে খাঁচায় মাছ চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি চারটি খাঁচা বানিয়েছে পাইলট প্রকল্পের আওতায় (পরীক্ষামূলক)। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মিঠা পানির হ্রদ। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। জড়িত রয়েছে মাছের চাষের সঙ্গে বিশাল এক গোষ্ঠী। প্রতিবছর হ্রদের মাছ থেকে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু জনসচেতনতার অভাব, কারেন্ট জালের ব্যবহার, কাচকি জালের অপব্যবহার, দূষণ বৃদ্ধি, অবৈধভাবে ও ভুল পদ্ধতিতে মাছ আহরণ, হ্রদের গভীরতা হ্রাসসহ বিভিন্ন কারণে হ্রদ থেকে মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে দিন দিন।





মাছ উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না জনসংখ্যার তুলনায়। কিন্তু আশানুরূপ চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে যাচ্ছে হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে। এ লক্ষ্যে খাঁচায় মাছ চাষ করার এক বিকল্প পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে বানানো হয়েছে চারটি খাঁচাও। খাঁচাগুলোতে রুই, মৃগেল, কাতলা, পাবদা, তেলাপিয়া,পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করা হবে। এজন্য বিএফডিসি নির্মিত খাঁচাগুলোতে চাষের লক্ষ্যে মাছের পোনা সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা আরও জানান, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কাপ্তাই হ্রদে পাইলট প্রকল্পের আওতায় খাঁচায় মাছ চাষ করবো। পরে আরও খাঁচার সংখ্যা বাড়াবো যদি সফলতার মুখ দেখি। এ পদ্ধতিটিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে মাছ চাষিদের মধ্যে। যাতে তারা এ উৎপাদনে এগিয়ে আসে।





রাঙামাটি মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, এবছর আমরা তেমন ভালো ব্যবসা করতে পারিনি। আগের মতো হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করা যাচ্ছে না দেশে মাছের সংখ্যা কমায়। দিন দিন হ্রদ থেকে কমছে মাছের সংখ্যা। এখন ছোট হচ্ছে মাছের আকৃতি। আসলে জনসচেতনতার অভাব, দূষণ এবং অবৈধভাবে মাছ শিকারের কারণে এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। আরও জানান, হ্রদে মাছের সংখ্যা বাড়ার জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় বের করেছি। কারণ সারাদেশে রয়েছে কাপ্তাই হ্রদের মাছের চাহিদা। কাপ্তাই হ্রদ তার নিজস্ব গৌরব হারাবে যদি মাছের উৎপাদন বাড়ানো না যায়। রাজস্ব হারাবে সরকার। এজন্য এখনি সময় কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচানোর জন্য। খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতিটি রাঙামাটিবাসীর জন্য নতুন। তবে মন্দ কী সফলতা পেলে। যদি বিএফডিসি মনে করে হ্রদে খাঁচায় মাছ চাষ করে উৎপাদন বাড়াবে তাহলে তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বলে যোগ করেন তারা। বিএফডিসি রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌ-বাহিনী) লে. কর্নেল এম তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ প্রতিদিন বাংলাদেশকে জানান, কাপ্তাই হ্রদে আগের মতো মাছ উৎপাদন হচ্ছে না। সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বিএফডিসি বেশ চিন্তিত মাছের সংখ্যা দিন দিন কমায়। বিএফডিসি নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়ার লক্ষ্যে। এর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো, হ্রদে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ।





আরও পড়ুনঃ বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে টেকনাফের ছোট নৌকার জেলেরা





সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করলে সফলতা পাওয়া যাবে বলেও আশা করেন তিনি। ১৯৬০ সালে বাঁধ দেওয়ার মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি করা হয়। এ হ্রদে বাণিজ্যিকভাবে মাছের উৎপাদন বাড়ার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনকে দায়িত্ব দিয়েছে। এখন লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল এ হ্রদকে ঘিরে।


No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here