অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সম্ভবত ভারতেই প্রথম পাওয়া যাবে - News Daily Bangladesh-Latest Online Popular Bangla Newspaper

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Wednesday, August 19, 2020

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সম্ভবত ভারতেই প্রথম পাওয়া যাবে


গোটা বিশ্ব প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স এই ভাইরাসের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে দিশেহারা। করোনাভাইরাস এসব দেশে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। 





বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী ভয়াবহ সংকট তৈরি করে রেখেছে এখনও পর্যন্ত কোনও সফল প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায়। ভ্যাকসিন এ থেকে একমাত্র বাঁচার উপায়। বিজ্ঞানীরা সে কারণেই মানবজাতিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই করোনার বেশ কিছু সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয়েছে।





তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সবচেয়ে এগিয়ে এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনই। নিরাপত্তার বিভিন্ন মাত্রায় ইতোমধ্যেই এই ভ্যাকসিন সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছে। বিজ্ঞানীরা ফলে আশার আলো দেখছেন।





সামনে এলো এর মধ্যেই আরও নতুন খবর। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষের দিকে হয়তো ভারতেই প্রথম পাওয়া যাবে। অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে তৈরি এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে।





করোনার সম্ভাব্য দুটি ভ্যাকসিন ভারতেও তৈরি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলোর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট চলে আসবে বলে জানা গেছে। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৈরির দৌঁড়ে অনেক বেশি এগিয়ে।





এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে আরও আগে। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফলও এর মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। এতে জানা গেছে, এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিজ্ঞানীরা যা প্রত্যাশা করছেন সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছে এটি।





ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করছে। অন্যদিকে, ভারতের অপর সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি করছে কোভ্যাক্সিন।





সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ২০২০ সালের শেষেই প্রতি মাসে ১শ' মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি সম্প্রতি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। ফলে সূলভ মূল্যে এই ভ্যাকসিন মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।





ভারতের কোভ্যাক্সিন এদিকে, প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিন প্রথম মানব ট্রায়ালে সফল হয়েছে। কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে।


No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here