পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দুই বন্ধু মিলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বরগুনার আমতলীতে। তারা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে নগ্ন ছবি তুলে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন।
ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করেছে এরপর তাদের ডাকে সাড়া না দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আইনগত কোনো পদক্ষেপ নিতে মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা সাহস পাচ্ছেন না। আজ মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই স্কুলছাত্রীকে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের বারেক মৃধার ছেলে ট্রাকের হেলপার মেহেদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে তিন মাস আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। গত শনিবার বিকালে মেহেদী ওই স্কুলছাত্রীকে পৌর শহরের নতুন বাজার বাঁধঘাট চৌরাস্তা সংলগ্ন হোটেলে সন্ধ্যায় আসতে বলেন। ভিকটিম স্কুলছাত্রী মেহেদীর কথামতো ওই হোটেলে দেখা করতে যায়। তখন মেহেদী তার বন্ধু রাসেলকে নিয়ে ওই হোটেলে ভিকটিম স্কুলছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মেহেদী তার ভাবীকে দেখানোর কথা বলে কৌশলে ওই স্কুলছাত্রীকে হোটেলের সামনে জনৈক সোলায়মানের বাসায় নিয়ে যান। সোলায়মান তাদের ঘরে তুলে দিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান। ওই বাসায় দুই বন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
রাতে বাসায় ফিরে স্কুলছাত্রী এ ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। মেয়ের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয়ে ওই স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাননি।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের নগ্ন ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয়ে আমি এতদিন এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাইনি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী দুদিন পরে এ নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ টেকনাফে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী
আমতলী থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
[…] […]
ReplyDelete