প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শেখ হাসিনা সোমবার এক শোকবার্তায় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে একসঙ্গে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশ এক প্রবীণ জননেতাকে হারাল, আমি হারালাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী আজ সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
কর্নেল শওকত আলী কিডনি, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৯ অক্টোবর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। তিনি হাসপাতালে বেশ কয়েক দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
শরীয়তপুর-২ আসন থেকে শওকত আলী পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে দুই ছেলে ও এক কন্যার জনক।
আরও পড়ুনঃ মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
১৯৬৯ সালে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়েছিল, শওকত আলীকেও তাতে আসামি করা হয়। তিনি মুক্তি সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
[…] আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর শোক সাবেক ডেপুটি স্পি… […]
ReplyDelete