আমাকে নিয়ে একটা কথা এই মানুষটার সাথে টুকটাক শোনা যায় - News Daily Bangladesh-Latest Online Popular Bangla Newspaper

Breaking

  

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Tuesday, September 29, 2020

demo-image

আমাকে নিয়ে একটা কথা এই মানুষটার সাথে টুকটাক শোনা যায়

Responsive Ads Here

আমাকে নিয়ে একটা কথা এই মানুষটার সাথে টুকটাক শোনা যায়। বেশ অস্বস্তিকর কথাটা। বিষয়টা নিয়ে তার স্ত্রী আর আমি চরম খুনসুটি আর হাসাহাসি করলেও আমাদের সাথে নতুন বন্ধুত্ব হওয়া কেউ কেউ একটু ইতং বিতং করে প্রসঙ্গটা তোলেন আর অপ্রস্তুত হয়ে বলেন ‘আহা! বাইরে থেকে কি ভুল ধারণা নিয়েই না ছিলাম!’





আমার সবচাইতে কাছের প্রতিবেশী, হুমায়ূন আহমেদের পুত্রসম বন্ধু প্রকাশক Mazharul Islam ভাইয়ের কথা বলছিলাম। আমার সবচেয়ে কাছের সহচর মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী Tanzina Rahman স্বর্না ভাবি। দিনের মধ্যে ৩/৪ বার দেখা করে সারা দিনের প্যাঁচাল নিয়ে বকর-বকর না করলে আমাদের পেটের ভাত হজম হয় না।





‘ছুটা বুয়াটা ইদানিং খুব ফাঁকিবাজি করছে’
‘ছাদের গাছ থেকে টমেটোগুলো কে চুরি করে নিল!’
‘বাচ্চাগুলো জ্বালিয়ে মারছে’
‘ইশশশ কতদিন বেড়াতে যাই না!’
এসব আলাপ আমাদের রোজকার ডালভাত।
এই করোনাবন্দী সময়ে আমাদের আরেকটি অভ্যাস হলো ছাদে একসাথে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা তারপর বিছানায় আধশোয়া হয়ে অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বলা-
“ভাল্লাগে না...”





আমার নাকি প্রেম এই অসাধারণ মানুষটির স্বামীর সাথে!!
হ্যাঁ... আমার প্রেম তার সাথে।





আমি যখন হুমায়ূন আহমেদের সাথে আমার কিশোরী বেলায় প্রণয়ের সময় ছেলে মানুষী রাগ করতাম। আমার ভুল ভাবনাগুলো ধরিয়ে দিয়ে তখন তিনি বড় ভাইয়ের মতো আমাকে শান্ত করতেন। উনি আমার আরেক মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া বড় ভাই- তার সাথে আমার ভাইয়ের মতো প্রেম।





হুমায়ূন আহমেদের কর্কট রোগের চিকিৎসা চলাকালে আপন ভাইদের যে দায়িত্ব ছিল সেই দায়িত্ব তিনিই পালন করেছেন। কখনও বাজার করে আনা তো কখনও তার হুমায়ূন ভাইয়ের পছন্দের খাবারটা রান্না করে ফেলা যেন কেমোথেরাপির পর তিনি একটু খেতে পারেন।





এক বছরের নিনিতকে কোলে নিয়ে প্রায়ই রাতের বেলা হেটে ঘুম পাড়াতেন যাতে করে আমি একটু বিশ্রাম পাই। হাসপাতালে হুমায়ূনের বিছানার পাশে একরাত আমি জাগি তো আরেক রাত তিনি জাগেন, আমার মতো করেই হুমায়ূন আহমেদের পা টিপে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই রক্তের সম্পর্ক না থেকেও। দেবরের মতো আমি উনাকে ভালোবাসি।





তাদের পরিবারের কোনো উৎসবই নিনিত, নিষাদ আর আমার ছোট্ট পরিবারটি ছাড়া পূর্ণ হয় না! তাদের সব আনন্দের ভাগ যেন আমাদের না দিলেই নয়! তাদের ছেলেদু’টিও বড় ভাইয়ের মতই আগলে রেখেছে আমার নিনিত-নিষাদকে। নিনিত, নিষাদ আর আমি- আমরা তিনজনই তাদের পরিবারের সব্বাইকে অনেক অনেক ভালোবাসি...





আরও পড়ুনঃ এবার মালেকের দরজা ভাইরাল, স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেক নয়





প্রিয় মাজহার ভাই আপনার জন্মদিনে। যে স্নেহ আর সম্মানে আপনি আমাদের জড়িয়ে রেখেছেন তা শতগুণ হয়ে আপনার পরিবারকে ঘিরে রাখুক...





(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)


Post Bottom Ad

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *