ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধোবাউড়া উপজেলার সানন্দখিলা গ্রামের এক কিশোরী গৃহকর্তা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিশোরীর পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় বুধবার ধোবাউড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে একটি মামলা করা হয়। ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে ৩ হাজার টাকা মাসিক বেতনে অভাবের তাড়নায় মেয়েকে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকুড়ি গ্রামের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেন তার পরিবার। পরিবারটি তার মেয়ের কাজে যোগদানের দুই দিন পর থেকে মেয়ের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ওই কিশোরীর বাবা গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সংবাদ পান গৃহকর্তা দম্পতি তার মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করাচ্ছে।
এছাড়াও গৃহকর্তা আ. বারেক মীর কাজে নেওয়ার দুদিন পর থেকে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা ধোবাউড়া থানায় সংবাদ দিলে ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থানার যৌথ অভিযানে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী এবং গৃহকর্তা আ. বারেক মীর (৫১) ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুনকে (৩৫) আটক করে ধোবাউড়া থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ সরকার এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে না: শিক্ষামন্ত্রী
ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এ ব্যাপারে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আটক দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment