র্যাব-১ মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি গাজীপুরের শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। খুলনা জেলার কসবা থানার উত্তর বেতকাশি গ্রামের মো. মোবারক আলীর ছেলে গ্রেফতার আসাদুজ্জামান। শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকার রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকেন।
মেয়েটি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকার ভাড়াটিয়া এক হতদরিদ্র পরিবারের বলে জানায় র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ধলাদিয়া মাদ্রাসার ওই শিক্ষক কম খরচে তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর কথা বলেন। তিনি ভিকটিমের পরিবারকে ফুসলিয়ে ভিকটিমকে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা হতে শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকায় নিয়ে যান।
গাজীপুরের শ্রীপুরের ধলাদিয়া মাদ্রাসায় মাদ্রাসার শিক্ষক ভিকটিমকে ভর্তি না করে ওই এলাকার একটি গোপন কক্ষে গত ২ আগস্ট ভিকটিমকে বন্দি রাখেন। ভিকটিম ও তার বাবার জীবননাশের হুমকি দিয়ে পরে দিনের পর দিন একাধিক বার ধর্ষণ করেন। সেইসঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। ভিকটিমের বাবা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের মোবাইল ফোনে কল করে তার মেয়ের খোঁজখবর জানতে চাইতেন। তখন তার মেয়ে ভালো আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত আছে বলে জানাতেন ওই শিক্ষক।
এভাবে প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলে ভিকটিমের বাবার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং তিনি তার মেয়েকে দেখার জন্য ধলাদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় যান। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি না করিয়ে তার মেয়েকে ধলাদিয়া এলাকার একটি গোপন কক্ষে বন্দি করে রেখেছেন। দিনের পর দিন তার জীবননাশের হুমকি দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছেন। ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ওই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১, গাজীপুর কার্যালয়ে এসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে আইনগত সাহায্য কামনা করেন।
গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-১ এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান গাজীপুরের সালনা এলাকায় অবস্থান করছেন। র্যাব ওই সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর সদর থানার দক্ষিণ সালনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। আসাদুজ্জামানকে তখন গ্রেফতার করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ধলাদিয়া এলাকার একটি তালাবদ্ধ রুম হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের ৪ ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে র্যাব জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামির স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
[…] আরও পড়ুনঃ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার ভর্তি করানো… […]
ReplyDelete