এবার ফাটল ধরলো চীন-মালয়েশিয়া সম্পর্কেও। মালয়েশিয়াও দক্ষিণ চীন সাগরে মালিকানা নিয়ে বেইজিংয়ের একতরফা দাবি মানতে নারাজ। আজ মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেইন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এ কথা জানিয়েছেন। মালয়েশিয়া মনে করে, ওই সাগরে চীনের দাবি ভিত্তিহীন। অন্যতম ব্যবসায়িক অংশীদার চীনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সরাসরি এমন মন্তব্য বিরল ঘটনা। খবর এএনআই ও জিফাইভের।
মঙ্গলবার দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের দাবি নিয়ে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে আলোচনা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে সেখানে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামুদ্দিন বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে মালয়েশিয়া চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার সরকার এও মনে করে, আন্তর্জাতিক আইনে ওই সাগরে চীনের দাবি ভিত্তিহীন। মালয়েশিয়া গত বছর ১২ ডিসেম্বর দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের মালিকানার অংশ বুঝে পেতে জাতিসংঘে আবেদন করে। জাতিসংঘ কনভেনশনের অধীনে সমুদ্র আইনে কোনো উপকূলবর্তী দেশ সংশ্লিষ্ট সাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে মালিকানা দাবি করতে পারে।
বেইজিং যদিও দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ১৩ লাখ বর্গমাইলকে নিজেদের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে দাবি করে। সাগরের ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ নামে পরিচিত এলাকার মালিকানা দাবির পাশাপাশি সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ ও সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চীন।
তবে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ান দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের মালিকানার দাবিদার। দেশগুলোর এ নিয়ে বিরোধ শতাব্দি পুরনো। যুক্তরাষ্ট্র এ বিরোধে নিজের মিত্রদের পক্ষ নিয়েছে। দেশটি সাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে সরব। দক্ষিণ চীন সাগর গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নৌ রুট। প্রতি বছর ওই রুটে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment